Sunday, 12 May 2013

কুমিল্লার বাজারে আম লিচুসহ রসালো ফলের বিপুল সমাহার
স্টাফ রিপোর্টার।। কুমিল্লা মহানগরের রাজগঞ্জ, চকবাজার, কান্দিরপাড়, টমসনব্রিজ এলাকায় রাস্তার পাশের ফুটপাতে এখন আম, লিচুসহ বিপুল ফলের সমাহার। বৈশাখের মাঝামাঝি সময় থেকেই এসব ফলের সমাহার ঘটতে থাকে। রসে টসটসে এসব মিষ্টি রসালো ফল থেকে ক্রেতাদেরও কমতি নেই। কিছু চড়া দামের কারণে সাধারণ ক্রেতাদের অনেকে দাম জেনেই কেনা থেকে বিরত থাকেন। অনেকে আবার চড়া দাম দিয়েই ক্রয় করছেন এসব। বছরের ফল কে না তার সন্তানদের হাতে তুলে দিতে চায় ? গতকাল রাজগঞ্জ, চকবাজার, কান্দিরপাড় ও টমসনব্রিজ এলাকায় ফলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, রং ও আকার ভেদে লিচু প্রতি শ অর্থাৎ ১০০টি লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। এসব লিচু কোন জায়গার-এমন প্রশ্নের উত্তরে ফল দোকানিরা ভিন্ন ভিন্ন জায়গার কথা বলেছেন। কান্দিরপাড় সমবায় মার্কেটের সামনের একজন লিচু ব্যবসায়ী বলেন, তিনি কুলোবাড়ির লিচু বিক্রি করেছেন, ১০০টি ২৮০টাকা দরে। কান্দিরপাড় পিপাসা সুইটস এর সামনের একজন ফল ব্যবসায়ী বলেছেন, তিনি ঢাকার নবাবপুর থেকে লিচু আনেন। তিনি ১০০টি লিচু বিক্রি করছেন ৩০০ টাকা দরে। রাজগঞ্জের ফল ব্যবসায়ীদের একজন বলছেন, তিনি দিনাজপুরের লিচু বিক্রি করছেন ১০০টি ২৮০ টাকায়। ফল ব্যবসায়ীদের কয়েকজন বলেন, রাজশাহী লিচুর জন্য প্রসিদ্ধ হলেও কুমিল্লায় রাজশাহীর লিচু এখনও এসে পৌঁছেনি। অসাধু ব্যবসায়ীরা রাজশাহী লিচু বলে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন। ক্রেতাদের কয়েকজন বলেন, লিচুর দাম চড়া হলেও বছরের ফল হিসেবে ছেলেমেয়েদের খাওয়ানোর জন্য তারা লিচু কিনছেন। ক্রেতারা দু�ভাবেই ঠকছেন, একে তো দাম চড়া অন্যদিকে দোকানিরা ১০০ বলে ব্যাগে ভরে দেয় ৭৫-৮০টি লিচু। লিচুর পাশাপাশি ফলের বাজারগুলোতে এখন আম, জামরুল, কাঁঠাল, বেলসহ দেশীয় ফলের বিপুল সমারোহ । প্রতি ডজন আম প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়। ক্রেতাদের কয়েকজন বলেন, দামাদামি করলে ৮০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যেও প্রতি ডজন আম কেনা যায়। এসব আম কোন জায়গার- এমন প্রশ্নের উত্তরে ফল বিক্রেতাদের কয়েকজন বলেন কুমিল্লায় ভারতীয় আমই বেশি বিক্রি হচ্ছে। কয়েকজন বলেন, তারা ঢাকার সোনারগাঁও থেকে এসব আম এনে থাকেন। ক্রেতাদের কয়েকজন বলেন, আমের পাকা রং দেখে খেতে ইচ্ছে করে, কিন্তু আমের কোনো স্বাদ পাওয়া যায় না। রসালো আমের আদি রসও নেই স্বাদও নেই। আগে আম, লিচু বাসায় নিয়ে গেলে মাছির ভনভন শব্দে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। এখন আমের গন্ধে স্বাদ তেমন নেই, মাছির আনাগোনাও নেই। এরপরও দেশীয় ফলের মজা পেতে বাজারগুলোতে ক্রেতার কমতি নেই।

No comments:

Post a Comment